নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) আজ বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তিস্তা নদীর চরের রংধামালি এলাকা পরিদর্শন করলেন। তিনি এদিন সোজা চলে আসেন জলপাইগুড়িতে, বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে। দিল্লি থেকে সরাসরি উত্তরবঙ্গে এসে দুর্গতদের দেখতে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। রাজ্যপাল রংধামালি ক্যাম্পে দুর্গতদের এক হাজার টাকা করে অ্যাকাউন্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আশ্রিত দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলার পরে। কিন্তু দুর্গতরা একশো দিনের কাজ (100 Days Work) নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপালের কাছে ।
রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে প্রশ্ন তোলেন দুর্গতরা “একশো দিনের কাজ কেন বন্ধ? কেনই বা আমরা টাকা পাচ্ছি না?”। তাঁদের অভাব–অভিযোগ শুনে রাজ্যপাল কেন্দ্র–রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। রাজ্যপাল বন্যা এলাকার কবলিত রিপোর্ট তলব করেন মুখ্যসচিবের কাছে। মুখ্যসচিব সিভি আনন্দ বোসের কাছে রিপোর্টও পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট -এর নয়া নির্দেশ! বাতিল হল ৫৫৮ জন শিক্ষকের অবৈধ চাকরি
বঙ্গের রাজ্যপাল সিকিমের রাজ্যপালের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তারপর গ্রামের শিশুদের নিজের কোলে তুলে নেন রাজ্যপাল রংধামালি তিস্তা চরে বসবাসকারী মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে। তিনি গ্রামে ঢুকে পড়া তিস্তা নদীর জলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে। ঘাসফুল শিবির নয়াদিল্লিতেও (New Delhi) আন্দোলন করেছে। আজকে শুরু হয়েছে রাজভবন অভিযান।
লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর! এবার থেকে রাজ্যের মহিলারা পাবেন দ্বিগুণ টাকা
তবে উত্তরবঙ্গে চলে এসেছেন রাজ্যপাল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচির দিনই। আর বিপর্যয় দুর্গতরা এখানেই বকেয়া টাকা পাওয়ার দাবিতে সরব হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সঙ্গে থাকা জেলা প্রসাশনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রাজভবন থেকে এক হাজার টাকা সাহায্য পাঠিয়ে দিতে। সেই অর্থ দুর্গতদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে বিডিও অফিস থেকে।