Polytechnic Course: বর্তমানে পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ভীষণ জনপ্রিয় একটি কোর্স। অনেকেরই ছোট থেকে স্বপ্ন থাকে বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। যারা খুব তাড়াতাড়ি ইঞ্জিনিয়ার হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চান তাদের জন্যেই এই বিশেষ কোর্স।
What is Polytechnic
অনেকেই ইতিমধ্যে নাম শুনেছেন পলিটেকনিক কোর্সের। পলিটেকনিক কিংবা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং নামেও ডাকা হয়ে থাকে এটিকে। কীভাবে মাধ্যমিকের পর কোনও পড়ুয়া পলিটেকনিক্যাল লাইনে যাবেন?
কোথায় কোথায় করবেন আবেদন? এই কোর্স কমপ্লিট করতে কত খরচ হয়ে থাকে? কোর্স শেষে কীভাবে পাবেন চাকরি? সম্পূর্ণই বিস্তারিত রইল আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: Top 6 Pension Schemes: অবসরের পরে পাবেন ১০,০০০ টাকা, রইল সেরা ৬টি পেনশন স্কিমের হদিশ
সবার প্রথমে জেনে নেওয়া যাক পলিটেকনিক কোর্স আসলে কী (What is Polytechnic Course)?
পলিটেকনিক হল একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স। যেটিকে মূলত ডিপ্লোমা কোর্স বলা যেতে পারে। পলিটেকনিকের সময়কাল সাধারণত তিন বছর। পলিটেকনিক শেষ করার পরেই যে কোনও ছাত্র-ছাত্রী কোনও সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরাসরি চাকরি করতে পারেন।
যদি কোনও পড়ুয়া চান তাহলে সে ক্ষেত্রে পলিটেকনিক কোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গ্রাজুয়েশন পাস করতে পারেন তিনি।
পলিটেকনিক কোর্স নিয়ে পড়ার জন্য যোগ্যতা কী লাগবে?
পলিটেকনিক পড়ার জন্য নূন্যতম পড়ুয়াকে মাধ্যমিক পাস হতে হবে। তাহলেই তিনি করতে পারবেন এই কোর্সের জন্য আবেদন। ছেলে মেয়ে উভয় পড়ুয়ারাই এই কোর্সের জন্য খুব সহজেই আবেদন জানাতে পারবেন।
এই কোর্সের জন্য বয়স সীমা কী রয়েছে?
যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে আবেদন জানাতে চাইছেন তাদের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৭ বছর। অন্যদিকে সর্বোচ্চ কোনও বয়সসীমা রাখা হয়নি।
এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য কী কী প্রয়োজন (Polytechnic Course after 10th)?
অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে সকল পড়ুয়ারা বিজ্ঞান বিভাগের ভালো তারাই একমাত্র পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। আর্টস কিংবা কমার্সের ছাত্রছাত্রীরা পলিটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে পারবেন না। তবে এটা সম্পূর্ণ ভুল।
পলিটেকনিক কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য নূন্যতম যেমন মাধ্যমিক পাস হওয়া জরুরি তেমন যে কোনও সাবজেক্টে শুধুমাত্র ৩৫ শতাংশ নম্বর থাকলেই হবে। তবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এবং ভবিষ্যতে ভালো জায়গায় চাকরি পাওয়ার জন্য অবশ্যই ৬০ শতাংশ নম্বর থাকলে খুব ভালো হয়।
পলিটেকনিক কোর্সের জন্য সাধারণত খরচ কত (Polytechnic Course Fees)?
যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা সরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে পড়াশোনা করতে চাইছেন তাদের খরচ অনেকটাই কম হয়। এক্ষেত্রে অনেকেই স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন। স্কলারশিপের টাকাতেই খুব ভালোভাবে পলিটেকনিক কমপ্লিট করে নেওয়া সম্ভব। যদি কোনও ছাত্র-ছাত্রী বাড়ির কাছে কলেজ পেয়ে যান তাহলে বাড়ি থেকে পড়াশোনা করলে খরচ আরো কমে যায়।
পলিটেকনিক কোর্সের পর কী কী চাকরি পাওয়া যায়?
যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইতিমধ্যেই চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তারা খুব সহজেই পলিটেকনিক কোর্সের পর এই চাকরি করতে পারবেন।
পলিটেকনিক কোর্সে তৃতীয় বর্ষ যখন চলে তখন বেসরকারি কোম্পানিগুলো পলিটেকনিক পড়ুয়াদের ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে চাকরির জন্য নির্বাচন করা শুরু করে থাকে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে কোর্স চলাকালীনই চাকরি পাওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকারি চাকরির কী কী স্কোপ রয়েছে এক্ষেত্রে?
বিদ্যুৎ বিভাগে অর্থাৎ ইলেকট্রিক অফিসে, পঞ্চায়েতে, ভারতীয় রেলে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজে যোগ দিতে পারবেন পলিটেকনিক করা ছাত্রছাত্রীরা। এছাড়াও আইটিআই এবং ভোকেশনাল কলেজগুলিতে শিক্ষকতা করার সুযোগ্য পেয়ে যাবেন।
যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পলিটেকনিক করার পর সাধারণত সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি পেয়ে যান তাদের ন্যূনতম বেতন শুরু হয় ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। এই বেতনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
পলিটেকনিক কোর্স নিয়ে পড়লে বেসরকারি কী কী চাকরি পাওয়া যায়?
এক্ষেত্রে বেসরকারি ভালো চাকরি পাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। মাসিক বেতন প্রথমে শুরু হয় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে। পরবর্তীকালে তা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে পেতে অনেকটা বেড়ে যায়।