Weather Report: মে মাস মানেই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যাবে এই মে মাসেই একের পর এক আছড়ে পড়ে বড় বড় ঘূর্ণিঝড়। আয়লা থেকে শুরু করে আমফান কিংবা ফণী নিজেদের দাপট দেখিয়েছে এই মে মাসেই।
Weather Report
চলতি বছরের মে মাসেই আরো এক ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কি তছনছ হয়ে যাবে বাংলা? ফের বড় আপডেট প্রকাশ্যে। এই প্রসঙ্গে কী জানাচ্ছে মৌসমভবন?
গতকাল বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বড়সড় আপডেট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে মৌসম ভবনের তরফ থেকে। দুই সপ্তাহের আউটলুক অনুযায়ী এই বিষয়ে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন বঙ্গোপসাগর তো বটেই আরব সাগরের ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ।
যে নিম্নচাপের জেরে আগামী ২২শে মে নাগাদ আরব সাগর এবং ২৩ শে মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে আরো একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ তৈরির এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে যে শর্তগুলি থাকতে হয় সেগুলির মধ্যে বেশ অনেকগুলি শর্ত বর্তমানে দেখা যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত লাগে যেমন:
সাগরের জলের তাপমাত্রা এই সময় থাকতে হয় ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে কমপক্ষে ৫০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত এই তাপমাত্রা থাকতে হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে এই ধরনেরই তাপমাত্রা বিরাজ করছে। জানা যাচ্ছে সাগরের জলতলের তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই রয়েছে ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এতটা গরম জলকেই ঘূর্ণিঝড়ের চালিকা শক্তি হিসেবে মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর।
নিম্নচাপের শক্তি (Weather Report) বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে দফায় দফায়। আগামী ২৪শে মে এর পর থেকে নিম্নচাপের আকার আরো গভীর হবে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে কোনওরকম ঘূর্ণিঝড় তৈরীর কোনও পূর্বাভাস বা লক্ষণ জানানো হয়নি। জানা যাচ্ছে, যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে আমফান কিংবা ইয়াশের মতো তছনছ করে দেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখবে না।
এই প্রসঙ্গে মৌসম ভবন আরো জানিয়েছে আন্দামান সাগর, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্ব অভিমুখে এই নিম্নচাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মায়ানমার এবং লাগোয়া বাংলাদেশ প্রবেশ করতে পারে এই বিশেষ ঘূর্ণিঝড় (Weather Report). যে কারণে বাংলার তেমন চিন্তার কোনও বিষয় নেই। এই খবর শুনে রীতিমতো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন রাজ্যবাসীরা।