Salary Hike: রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা (WB Govt Employees) বেতন পাচ্ছেন না, বাদ পড়ছে পেনশন, চাকরির ইন্টারভিউ। তা সত্বেও কমছেনা পুজোর জন্য সরকারি তহবিলে বরাদ্দ্ অনুদান। আর পুজো সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
রাজ্য জুড়ে চাকরির হাহাকার, পেনশনের ঠিক নেই, বেতন (Salary Hike) পাচ্ছেন না স্থায়ী সরকারি কর্মচারীরা। তা সত্তেও পুজোর আয়োজনে পড়ছেনা বিন্দুমাত্র কমতি। বরং আগের বছরে মন্ডপ প্রতি অনুদান ছিল ৬০,০০০ টাকা যা বৃদ্ধি হয়ে ৭০,০০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষনার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে কলকাতার হাইকোর্টেও। সরকারি ভান্ডারে ভাড়ে মা ভবানী থাকা সত্ত্বেও পুজোর অনুদান বাড়ছে কী করে, প্রশ্ন তুলেছেন জনগনের একাংশ। আর সম্প্রতি দুর্গাপূজার অনুদান বৃদ্ধি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের মামলার শুনানি রেখেছেন বিচারপতি।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, তমলুকের একটি পুজো কমিটি পুরসভার কাছে পুজোর জন্য অনুমতি নিতে গিয়েছিল। অনুমতি না মেলায় তারা হাইকোর্টের দারস্থ হয়। আর এই মামলার শুনানিতে বিচারক জানতে চান সংশ্লিষ্ট এলাকায় কটা পুজো হয়। আইনজীবী তার উত্তরে ৫০ টা বললে বিচারপতি জানতে চান প্রত্যেক পুজো কমিটি ৭০,০০০ টাকা পায় কিনা। তার প্রদ্যুত্যরে রাজ্যের তরফে জানানো, শুধু নাম নথিভুক্ত করা ক্লাবগুলোই পুজোর জন্য অনুদান পায়। আর তার পরেই বিচারপতি তীব্র সমালোচনা করেন, যে রাজ্যের কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না (Salary Hike), পেনশন নেই, নেই চাকরি, সেই রাজ্যে কি করে পুজোর অনুদান বাড়ানো হচ্ছে।
পিএসসির শ্রম দপ্তরে ব্যাপক সংখ্যক নতুন নিয়োগ! দেখুন আবেদন পদ্ধতি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় রাজ্যের পুজো কমিটি গুলিকে ২৫,০০০ টাকা অনুদান দিয়ে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করেন। তবে কোভিডের সময়কালে তীব্র অর্থসংকটের সম্মুখীন হওয়ায় তিনি একলাফে অনুদানের পরিমান ৫০,০০০ বাড়িয়ে দেন। গত বছর তা বাড়িয়ে ৬০,০০০ করা হলেও সাম্প্রতিক বছরে তা ৭০,০০০ ধার্য করা হয়েছে।