Public Service Commission: রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই দুর্নীতি কম নেই। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পর এবার সামনে এল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আরো বড় দুর্নীতি।
Public Service Commission
সম্প্রতি ফুড এস আই পরীক্ষা নিয়ে যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল তা কারোরই অজানা নয়। পরীক্ষা দেওয়ার আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিল প্রশ্নপত্র। গত মাস অর্থাৎ মার্চের ১৬ এবং ১৭ তারিখ ছিল ফুড এস আই পরীক্ষা। মোট দু’দিনে তিনটি শিফটে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল (Public Service Commission)।
প্রথম শিফটে পরীক্ষা দিতে বসেই অর্ধেক ছাত্রছাত্রী দেখেছিলেন অলরেডি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে প্রশ্নপত্র। তারপর অনেকেই ছড়া দামে কিনেছেন নাকি উত্তরও। এমনকি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলেও পাচার করা হচ্ছিল হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। সেখানে উপস্থিত থাকা কোনও গার্ড সেই বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করেননি (Public Service Commission)।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি নিয়োগদের ক্ষেত্রে এরকম দুর্নীতি সামনে আসায় সকলেই বেশ হতাশ হয়ে গিয়েছেন। শাসক ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ উদ্ধারের মতো ঘটনা প্রত্যেকে দেখেছে। আসমুদ্রহিমাচলের প্রত্যেক শিক্ষক এবং কর্মীদের চাকরি বাতিল হয়েছে।
সম্প্রতি ২০১৬ সালে যে প্রায় ২৬ হাজার জন শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরা নবম দশম, একাদশ দ্বাদশ, গ্রুপ সি গ্রুপ ডি ইত্যাদিতে যুক্ত হয়েছিলেন তাদের প্রত্যেকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কিছুদিন পূর্বেই ওএমআর কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৪ র প্রায় ৪২০০০ উচ্চ প্রাথমিক চাকরিজীবীর চাকরি বাতিল করে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মন্থ (Public Service Commission)।
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি ২০১৭ সালের প্রাথমিক নিয়োগ সামনে এসেছে বড়সড়ো দুর্নীতি। কলকাতা উচ্চ আদালতের চাকরিপ্রার্থীরা মামলা করেছেন ২০১৭ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রায় একদিন আগে থেকেই whatsapp গ্রুপে গ্রুপে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। সেই গ্রুপের নাম ছিল এক হাতে টাকা দিন এক হাতে চাকরি নিন। এর ভিত্তিতেও নতুন মামলার অজু করে ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইকে অমন করেছে হাইকোর্ট (Public Service Commission)।
খুব স্বাভাবিকভাবেই ঘন ঘন এবং পর পর চাকরি বাতিলের ঘটনায় চাকরিপ্রার্থী এবং চাকরিজীবীদের ভবিষ্যৎ যে ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে এখন। শুধুমাত্র চাকরি-বাতি নয় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যে সমস্ত প্রার্থীর চাকরি বাতিল হচ্ছে তাদেরকে ফেরত দিতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকাও (WBPSC)।
আরও খবর জানতে ফলো করুন আমাদের দৈনিক নিউজ বাংলাকে।
Written By Tithi Adak