Food SI Exam 2024: বর্তমানে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আয়োজিত ফুড এস আই এর পরীক্ষার ঘিরে তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গ। চাকরির বাজারে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই নাম খারাপ রয়েছে। বহুবার উঠে এসেছে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার মতো অভিযোগ।
Food SI Exam 2024 Big Update
গত ১৬ এবং ১৭ তারিখ ছিল ফুড এস আই এর (Food SI Exam 2024) পরীক্ষা। এই পরীক্ষার দিন দেখা যায় পরীক্ষা শুরুর আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, প্রশ্নপত্র। এমনকি বিভিন্ন জায়গা থেকে চড়া দামে পরীক্ষার্থীরা কিনেছেন প্রশ্নপত্র এবং উত্তর।
পরীক্ষা ঘোষণার সময় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এই বছর পরীক্ষার পর (Food SI Exam 2024) কোনওরকম ভাবেই পরীক্ষার্থীরা বাড়িতে প্রশ্নপত্র আনতে পারবেন না। অথচ সেই প্রশ্নপত্রই হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরতে দেখা যায়। বহু পরীক্ষার্থী দাবি তোলেন তাঁদের পরীক্ষার হলে অনেকেই ফোন নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। এমনকি সেখানে উপস্থিত গার্ডও কোনওরকম বিরোধিতা করেননি। তাঁরা সেই সময় ফোন ব্যবহার করে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে কোথাও পাঠাচ্ছিলেন সেই বিষয়েও অভিযোগ করেছেন সকলে।
এরপরেই পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয় ফুড এস আই এর পরীক্ষা বাতিল করার। এই দাবিতে ঘেরাও করা হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিস। গত দু’দিন অর্থাৎ ১৯ এবং ২০ তারিখে চাকরি প্রার্থীরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিস ঘেরাও করে।
পরীক্ষার্থীদের দাবি ঠিক কী ছিল?
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে পড়ুয়ারা বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে গিয়েছিলেন (Food SI Exam 2024)। তাঁদের প্রথম দাবি ছিল যাতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন করে ফুড এস আই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পুরনো ফুড এস আই পরীক্ষা বাতিল করার দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর সিটের কার্বন কপি যাতে পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই অনুরোধও করেছিলেন। একদিনে সমস্ত পরীক্ষা শেষ করারও কথা জানানো হয় পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিক্রিয়া
জানা যাচ্ছে গতকাল আন্দোলনের পর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। তাঁরা পড়ুয়াদের আশ্বস্ত করে বলেছেন খুব শীঘ্রই মিটিং ডাকা হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলা থেকে পুলিশের মারফত এমন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। তাঁরা অপেক্ষা করছেন সমগ্র জেলা থেকে এরকম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার জন্য।
বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলার পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে যদি দুর্নীতির অভিযোগ আসে তাহলে সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখবে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। এছাড়াও পরেরবার যদি পরীক্ষা নেওয়া হয় তাহলে কলকাতাতেই সব পরীক্ষা সেন্টার রাখা হবে যাতে সমস্ত কিছু নিজের হাতে খতিয়ে দেখতে পারে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যরা।
কুড়ি মার্চ অভিযানের পর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
এক কথায় বললে পাবলিক সার্ভিস কমিশন আশ্বস্ত করা হয়েছে খুব ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হবে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীদের কথা ভেবে ভবিষ্যতে দরকার পড়লে আয়োজন করা হবে নতুন পরীক্ষার। এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হবে কলকাতার মধ্যে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যরা নিজেরা তদারকি করবেন।
আরও খবর জানতে ফলো করুন আমাদের দৈনিক নিউজ বাংলাকে।
Written By Tithi Adak