Pm Pranam Scheme: কৃষকদের আয়কে সমর্থন ও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার PM-PRANAM (Promotion of Alternate Nutrients for Agriculture Management) নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল অনুপযুক্ত সার ব্যবহারের সমস্যা সমাধান করা এবং সারা দেশে জৈব চাষ পদ্ধতির প্রচার করা।
PM-PRANAM প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য হল রাসায়নিক সারের ব্যবহার কম করে সঠিক পরিমাণে সার ব্যবহার করতে কৃষকদের উৎসাহিত করা, যা মাটির উর্বরতা নষ্ট করে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। এবং এই প্রকল্পের অধীনে, সরকার কৃষকদের জৈব সার ব্যবহার করতে এবং তাদের আবাদযোগ্য জমির উন্নতি করতে সক্ষম করার জন্য ভর্তুকি প্রদান করবে।
স্কিমটি কৃষকদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে। রাজ্য সরকার অনুদান হিসাবে প্রতিটি উপ-শহরে বরাদ্দকৃত তহবিলের 50 শতাংশ অবদান রাখবে। অধিকন্তু, রাজ্যগুলিতে বরাদ্দকৃত তহবিলের 70 শতাংশ জৈব সার উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যার মধ্যে জৈব সার কারখানা স্থাপনও রয়েছে। এই উন্নয়নটি জেলা থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়িত হবে। অবশিষ্ট 30 শতাংশ তহবিল বিভিন্ন গ্রামের কৃষক বা কৃষক সমিতির মধ্যে বিতরণ করা হবে, তাদের জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
রাসায়নিক সারের সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে এই প্রকল্পটি শুরু করার সরকারের সিদ্ধান্ত। যদিও রাসায়নিক সারগুলি দ্রুত চাষের সুবিধা দেয়, গবেষণাগুলি 2017-18 এর তুলনায় 2021-22 এর মধ্যে তাদের ব্যবহারে প্রায় 21% উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি প্রকাশ করেছে৷ রাসায়নিক সারের বিরূপ প্রভাব থেকে মানবস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমানে, প্রকল্পটিতে 1.05 লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে বাজেট 2.35 লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য গ্রাম স্তরে এই প্রকল্পের (Pm Pranam Scheme) নাগাল প্রসারিত করা। কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে, সরকার তিন বছরের জন্য প্রকল্পটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরিকল্পনা করেছে। সমন্বিত সার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিটি চাষাবাদের অনুশীলনে জৈব সারের সঠিক ব্যবহার মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: Krishak Bandhu Prakalpa – এই কাজটি না করলে পাবেন না কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা! এখনি করুন
এই প্রকল্পটি কেবল কৃষকদেরই নয়, সাধারণ জনগণকেও উপকৃত করে। কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে, তাদের কৃষি কার্যক্রম সমৃদ্ধ হবে এবং রাসায়নিক সার পরিহারের ফলে ফসল ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে মুক্ত হবে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন যে এই ধরনের ফসল খাওয়া মানুষের স্বাস্থ্যের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না।
PM-PRANAM স্কিমের সাফল্য গ্রাম পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন এবং এর কার্যকারিতা মূল্যায়নের পরেই নির্ধারণ করা যেতে পারে। যাইহোক, বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী যে এই প্রকল্পটি বিভিন্ন অঞ্চলে ফসল উৎপাদন এবং খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে।