বইপ্রেমী বাঙালির পছন্দের ঠিকানা কলকাতা বই মেলা (Kolkata Book Fair). শীত পড়তেই শহরে, মফস্বলে স্থানীয় উদ্যোগে বইমেলার আয়োজন হলেও কলকাতা বইমেলা যেন সমস্ত বাঙালির নস্টালজিয়া। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর সেই পার্বণের একটি যেন কলকাতা বইমেলা। সাড়ম্বরে আয়োজিত এই বই মেলার অপেক্ষায় থাকেন বঙ্গবাসী। শীত মরশুমে পৌষ পার্বন ও বইমেলার গন্ধ বাঙালির মনে প্রাণে বাস করবে চিরদিন।
Kolkata Book Fair
অবশেষে সমস্ত অপেক্ষা কাটিয়ে শুরু হলো ৪৭ তম কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fair). এবারের বইমেলায় অন্য বারের চাইতে আলাদা। বহু আকর্ষণ থাকছে আগত মানুষজনের জন্য। গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৪৭ তম কলকাতা বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন। আগেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল এ বছরের বইমেলার বাড়তি আকর্ষণের কথা। আর তাতেই মন মজেছে বাঙালির।
সদলবলে বইমেলায় উপস্থিত থাকার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কী এমন বাড়তি আকর্ষণ থাকছে এবারের বইমেলায়? কোন কোন বিশেষ উদ্যোগ নজর কাড়বে উপস্থিত জনগণের? আসুন জেনে নেওয়া যাক চুপিচুপি।সূত্রের খবর, চলতি বছরের বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় ২০টি দেশ। জাঁকজমকপূর্ণ তালিকায় থাকছে স্পেন, রাশিয়া, ইতালি, পেরু, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, কিউবা, ডমিনিকান রিপাব্লিক, গুয়াতেমালা, কোন্তারিকা, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও আমেরিকার নাম।
যা নিঃসন্দেহে একটি বিরাট আয়োজন। শুধু তাই নয়, কলকাতা বইমেলায় (Kolkata Book Fair) এবছর থাকছে সর্বাধিক প্রকাশক ও লিটল ম্যাগাজিন। ছোটদের জন্য যা আকর্ষণীয় এবং বড়দের জন্যও সমান পছন্দের একটি খবর। প্রতি বছরের মতো এবারেও সাড়ম্বরে আয়োজিত হবে কলকাতা বুক ফেয়ার। ওপার বাংলার উপস্থিতি এবার অন্যমাত্রা আনবে বইমেলা প্রাঙ্গণে। জানা যাচ্ছে, এবারের বইমেলায় থাকছে মোট নয়টি গেট।
এইবার থেকে শনিবারেও ছুটি নয় রাজ্য সরকারি কর্মীদের!! নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
থাকবে লন্ডন টাওয়ার ব্রিজ গেট, ফাদার দাঁতিয়েন ১০০ গেট, বেথুন স্কুল গেট, আর তারাশঙ্কর ১২৫ গেট ও লোরকা ১২৫ গেট। বিদেশি ছাড়াও দেশীয় প্রকাশনার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে এবারের বইমেলায়। সমস্ত রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা থাকবে বইমেলা প্রাঙ্গণে। জানা যাচ্ছে, এবছর নতুন রূপে সেজে উঠছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। যেখানে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বাংলাদেশের প্রায় পঞ্চাশটি নামজাদা প্রকাশনা সংস্থা।
শিশুদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বইমেলা প্রাঙ্গণ। কারণ এ বছর ২১ জানুয়ারি সেখানে আলাদা করে শিশু দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেদিন ছোটরা উপহার পাবেন পান্ডব গোয়েন্দার প্রথম অভিযান বইটি। এছাড়া, ২৪ জানুয়ারি পালন করা হবে বরিষ্ট নাগরিক দিবস। অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক আবুল বশারকে বিশেষ সন্মান দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার বিশেষ বিশেষ আকর্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন।
বইমেলার যাতায়াতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাই বুঝতেই পারছেন কেবল বই পড়া, বই কেনা নয় কলকাতা বইমেলায় থাকছে ঝাঁকে ঝাঁকে আকর্ষণ। না গেলে কিন্তু বিরাট মিস করবেন আপনি।