দেশের বৃহত্তম বিমাকারী সংস্থা হলো জীবন বীমা নিগম (LIC) । দেশের মানুষের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ বিমাকারী সংস্থা হলো এটি। যেখানে দেশের প্রায় কোটি কোটি মানুষ ভরসা করে অর্থ বিনিয়োগ করেন। তবে চলতি বছরের শুরুতে এলআইসি নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। আদানী গোষ্ঠীতে বিনিয়োগকারী সংস্থা হিসাবে এলআইসির সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল দেশ জুড়ে। এবার এলআসিতে দেখা গেল ধস। যা নতুন করে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জীবন বীমা নিগমের আয় কমে গিয়েছে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের এলআইসি যা লাভ করেছে তা গত বছরের তুলনায় অর্ধেক। অর্থাৎ মুনাফার ধস নামলো। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে জীবন বীমা নিগম কি এর কারণে সমস্যায় পড়তে চলেছে? চলুন এ সম্পর্কিত বিস্তারিত খবর জেনে নিন।
Huge collapse in LIC’s profits
২০২৩ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে এলআইসি মোট ৭৯২৫ কোটি টাকা লাভ করতে পেরেছে। এই হিসাব গত ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে লাভ অনেক কম। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের শেষে এলআইসি লাভ করেছিল ১৫৯৫২ কোটি টাকা। গত ১১ই নভেম্বর রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করেছে এলআইসি।

রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে প্রকাশিত এলআইসির এই তথ্যতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এলআইসির (LIC) আয় অনেকটা কমেছে। চলতি বছরের প্রথম দুটি কোয়ার্টারে এলআইসি মোট ১০৭৩৯৭ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে। এলআইদসির মোট আয়ের ক্ষেত্রেও ধস নেমেছে। যেখানে এলআইসি আয় করে ২,২২,২১৫ কোটি টাকা, সেখানে আয় করেছে ২,০১,৫৮৭ কোটি টাকা।
সূত্রমারফত জানা যাচ্ছে, প্রিমিয়ামের দিক থেকেও আয়ে ধস নেমেছে এলআইসির। মোট আয়ের পরিমান শতাংশে প্রকাশ করলে, সংস্থার নিট আয় ১৮ শতাংশ ধস নেমেছে। নিট আয় কমার কারণে কমেছে লাভের পরিমানও। এই সংস্থা রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে জানিয়েছে, নন-পার্টিসিপেটিং ফান্ড থেকে শেয়ারহোল্ডার ফান্ডে ৬২৭৭ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। মুনাফা বাড়ার জন্যই এই ফান্ড ট্রান্সফার করা হয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন » এই LIC পলিসিতে ১০ গুন রিটার্ন নিশ্চিত!! শুধু এই পদ্ধতি জানতে হবে সবাইকে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি বলেছেন, “বাজারি অর্থনীতির কুপ্রভাব। যে বাজারি অর্থনীতি মোদী সরকার আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে, তার কারণে এলআইসি-র মতো সংস্থাও মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। জীবনের বিমার জন্য যে সংস্থার উপর কোটি কোটি মানুষ ভরসা করত, এখন তাঁদেরই বিমা দরকার। “