এখন রাস্তায় বেরোলেই প্রচুর টোটোর দেখা মেলে। E Rickshaw Toto এর দৌরাত্ম্যে নাজেহাল অবস্থা পথ চলতি সাধারণ মানুষের। বহু জায়গায় টোটোর কারণে শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছেন না সাধারণ মানুষজন। এমনকি বিগত সময়ে টোটোর এই দৌরাত্মের কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বহু মানুষ। প্রতিদিন এই দুর্ঘটনার সংখ্যা যেন বেড়েই চলেছে। এখন তো রাস্তায় বেরোতেই ভয় পাচ্ছেন পথ চলতি মানুষজন। ট্রাফিক আইন মানছেন না অনেক টোটো চালক।
E Rickshaw Toto
বলা ভালো, ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো অলিতে গলিতে আর মেইন রোডে টোটো চালাচ্ছেন চালকেরা। আর যার বলি হতে হচ্ছে রাস্তায় চলাফেরা করা সাধারণ মানুষকে। সিগন্যাল না মানার কারণে আচমকা ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। যা কখনওই কাম্য নয়। এমন ঘটনা কিন্তু আপনার আমার আশেপাশে প্রতিদিন কম বেশি হয়েই চলেছে। ট্রাফিক সিগন্যাল না মানা আর যেখানে সেখানে দ্রুতগতিতে টোটো চালানোর কারণে সমস্যায় পড়ছেন বহু মানুষ।
প্রতিদিন দুর্ঘটনার সংখ্যা এর ফলে বেড়েছে। E Rickshaw Toto এর সাথে দুর্ঘটনার কারণে যে কেবলমাত্র পথ চলতি মানুষেরাই আহত হচ্ছেন তা নয়, টোটোর চালক থেকে যাত্রীদের সকলকেই পড়তে হচ্ছে দুর্ঘটনার মুখে। এবার বহরমপুর শহরে ঘটে গেছে দুর্ঘটনা। কলেজ যাওয়ার পথে টোটো উল্টে পড়ে যান ছয় থেকে সাত জন পড়ুয়া। টোটো চালকের ভাষ্যে, দ্রুতগতিতে একটি চারচাকা গাড়িরষ সামনে আসার ফলে ব্রেক কষতে গিয়ে উল্টে গেছে টোটো।
তবে ভাগ্যের জোরে আহত হননি কোন পড়ুয়া। তবে যেভাবে টোটো (E Rickshaw Toto) উল্টে গেছে তাতে এই পড়ুয়া সহ টোটো চালকের যা কিছু হতে পারত। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, উদ্দেশ্যহীনভাবে শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরে বেড়ায় টোটো। আশেপাশে না দেখেই আজকাল টোটো চালকরা টোটো ঘোরান। এইসব কারণে ছোট রাস্তাগুলিতে সব সময় যানজট লেগেই থাকছে। সাধারণ মানুষ শান্তিতে রাস্তায় হাঁটতে পারছেন না।
চাকরি না করেও মাসে 25000 টাকা পেনশন। বিনিয়োগ করুন পোস্ট অফিসের এই দুর্দান্ত স্কিমে।
সাধারণ মানুষ অভিযোগ করছেন, প্রয়োজনের তুলনায় টোটোর সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। টোটো চালকদের এই মুহূর্তে ট্রাফিক আইন মেনে টোটো চালাতে হবে। সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সেই দিকেও তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে। রাস্তার অর্ধেক জায়গা ভরে যাচ্ছে টোটোতে। টোটো (E Rickshaw Toto) চালকরা যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় মেতে আরও সমস্যার সৃষ্টি করে দিচ্ছেন।
এত যানজটের কারণে অল্প পথ যেতেও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে মানুষের। টোটোর বাড়বাড়ন্তে বহরমপুরে সাধারণ মানুষের পথ চলাই দুষ্কর হয়ে গেছে। সকালের দিকে তো একপ্রকার রাস্তায় বের হতেই পারেন না পথ চলতি মানুষজন। এই কারণে বহরমপুর পৌরসভা থেকে সকাল আর বিকালে দুটি শিফটে টোটো চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। সকালে যেই টোটো (E Rickshaw Toto) চলবে, সেই টোটো আর বিকালে রাস্তায় বেরোবে না।
আবার কি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? কী জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর?
এই নিয়ম মানেননি টোটো (E Rickshaw Toto) চালকরা। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা আর যানজট শহরে জুড়ে বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে ভীষণ বিরক্ত বহরমপুরের মানুষ। বহরমপুরের ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে যানজট না হয়। টোটো চালকদের ঔদাসীন্য ট্রাফিক পুলিশদেরও সমস্যায় ফেলছে। এবার বহরমপুর পৌরসভা থেকে আইন মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।