Customer Service Point: বাড়িতে বসেই আয় করুন মাসে 50,000 টাকা, রইল অভিনব ব্যবসার হদিশ

Share:

Customer Service Point: সম্প্রতি যে কোনও মানুষই ঝুঁকছেন নিজেদের ব্যবসার দিকে। অনেকেই খুঁজে পান না কীভাবে নিজেদের ব্যবসা শুরু করা যায়! আজকে রইল এমন এক ব্যবসার আইডিয়া মাত্র 15,000 থেকে 20,000 টাকা বিনিয়োগ করলেই যেকোনও ব্যক্তি শুরু করতে পারবেন স্বপ্নের ব্যবসা।

ADVERTISEMENTS

এই ব্যবসার নাম হল সিএসপি বা কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট।

What is Customer Service Point?

কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টকে মিনি ব্যাংকও বলা যেতে পারে। এখানে ব্যাংকের বিভিন্ন কাজ যেমন টাকা জমা দেওয়া, টাকা তোলা, ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করা, পাস বই আপডেট করা ইত্যাদির মতো কাজ করা হয়।

সিএসপি খোলার জন্য যোগ্যতা কি লাগে?

সিএসপি খোলার জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ২১ বছর হলেই হবে। তাকে জানতে হবে কম্পিউটারের কাজ। পাস করতে হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।

কোন ব্যাংকের সিএসপি (Customer Service Point) খোলার জন্য কী কী প্রয়োজনীয় নথি লাগে?

  • ভোটার কার্ড
  • প্যান কার্ড
  • আধার কার্ড
  • ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস
  • জায়গার কাগজপত্র
  • যদি ভাড়া ঘর হয় তাহলে তার রশিদ
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট

কোন ব্যাংকের সিএসপি (Customer Service Point) খোলার জন্য কী কী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লাগে?

  • 200 থেকে 250 বর্গফুটের স্থায়ী ঘর
  • কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
  • ইন্টারনেট কানেকশন
  • প্রিন্টার
  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার
  • পাসবুক প্রিন্টার

এবারে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে Customer Service Point (CSP) থেকে কোন মানুষ ইনকাম করতে পারেন?

১) সিএসপি থেকে কোনও ব্যক্তি মূলত কমিশনের মাধ্যমে নিজের উপার্জন করতে পারেন। এই কমিশন দেয়া হয়ে থাকে টাকা তোলা, জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে। 0.04 থেকে 0.06 শতাংশ হারে পাওয়া যায় কমিশন।

২) সারাদিনে যদি মোট 1 লক্ষ টাকা লেনদেন হয়ে থাকে তাহলে 400 থেকে 500 টাকা অবধি উপার্জন করা যায়। ঠিক একইভাবে যদি দু’লাখ টাকা লেনদেন হয় তাহলে উপার্জন করা যায় 1000 টাকা অবধি।

৩) এছাড়াও ইন্সুরেন্স পলিসি, ব্যাংকে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, নতুন ফিক্সড ডিপোজিট, চেক ডিপোজিট, ব্যাংকের পাস বই আপডেট ইত্যাদি কাজের জন্য ব্যাংক থেকে আলাদা করে কমিশন দেওয়া হয় সেই ব্যক্তিকে।

সিএসপি (CSP) খোলার জন্য কত টাকা লাগে?

যদি কোন ব্যক্তি সিএসপি খুলতে চান তাহলে তাকে আগে করতে হবে রেজিস্ট্রেশন। যার খরচ মোটামুটি হয়ে থাকে 5000 টাকা থেকে 7000 টাকা অবধি।

এছাড়াও এককালীন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, পাসবুক প্রিন্টার, ইন্টারনেট সেটাপের মতো টাকা খরচ করতে হয়।

কীভাবে কোনও ব্যক্তি সিএসপির (CSP) জন্য আবেদন করতে পারেন?

অফলাইনে নিকটবর্তী কোনও ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে। সাধারণত ব্যাংক থেকে সরাসরি সিএসপি দেওয়া হয় না। সিএসপি নিতে হয় কোনও কোম্পানির মাধ্যমে।

ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রেখে তার থেকে আগে জানতে হবে কোন কোন কোম্পানি তাদের সিএসপি প্রদান করে থাকে। তারপর সেই কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সিএসপির জন্য আবেদন করা যায়।

এক্ষেত্রে ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকলে খুব তাড়াতাড়ি আবেদনপত্র অ্যাপ্রুভ হয়ে যেতে পারে।

আরও খবর জানতে ফলো করুন আমাদের দৈনিক নিউজ বাংলাকে

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment