Aadhaar Card Deactivation 2024: বর্তমানে প্রত্যেক মানুষের কাছেই আধার কার্ড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। সিম কার্ড তোলা হোক কিংবা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলা যেকোনও কাজই হয়না আধার কার্ড ছাড়া। কার্ড না থাকলে মেলে না কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধাও।
Calcutta high court takes action on Aadhaar Card Deactivation
এরকম অবস্থায় যদি এই নথি কোনওভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের চিন্তার শেষ থাকে না (Aadhaar Card Deactivation) । বেশ কিছু মাস ধরেই সামনে আসছিল আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার অভিযোগ। মধ্যেই অনেকের আধার কার্ড ডিএক্টিভেট হয়ে গিয়েছে। এর উত্তর ঠিকঠাক মিলছে না কোথাও। যদিও আধার কার্ড সংস্থা ইউআইডিএআই এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যেহেতু তাদের ডেটা আপগ্রেডেশনের কাজ চলছে তাই টেকনিক্যাল কোনও ফল্ট এর জন্য এরকমটা হয়েছে।
দিনের পর দিন একাধিক মানুষের আধার কার্ড বাতিল (Aadhaar Card Deactivation) হয়ে যাওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে হয়েছে সেই বিশেষ মামলার শুনানি।
বিভিন্ন তথ্য সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে হাজারেরও বেশি আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আধার কার্ড সংক্রান্ত এই বিষয়েও কেন্দ্র তরফ থেকে বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে এমনটাই অভিযোগ।
কেন এমন বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে (Aadhaar Card Deactivation)?
এই প্রশ্ন তুলেই মূলত হাইকোর্টে আধার কার্ড সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয় জয়েন্ট ফোরাম এগেনস্ট এনআরসিএন এএনআর এর তরফ থেকে। মামলাকারীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সমস্ত ব্যক্তির আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে তাদের খুব শীঘ্রই জানানো হোক। এই আবেদন শোনার পর কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে আধার কার্ড সংক্রান্ত এই মামলা একেবারে গুরুত্বহীন। এটা শুধুমাত্র বিদেশি নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। ওদিকে হাইকোর্ট এই মামলার কেন্দ্রের কাছ থেকে তলব করেছে হলফনামা। ঠিক কেন এমনটা হয়েছে এই বিষয়েই চাওয়া হয়েছে সঠিক উত্তর (Aadhaar Card Deactivation)
আগামী ২৪ শে এপ্রিল রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এই তিন সপ্তাহের মধ্যেই যাবতীয় হলফনামা জমা দিতে হবে কেন্দ্রর পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মানুষ দাবি করেছিলেন আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনার। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার চিন্তিত হয়ে পড়েন নাগরিকত্ব হারানোর বিষয়টি নিয়েও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার শুরুর ছড়িয়ে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ের উপর তৃতীয় পাঠানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি বারংবার দাবি করছে টেকনিক্যাল সমস্যা হতে পারে এটাই কোন দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
Written By Tithi Adak
আরও খবর জানতে ফলো করুন আমাদের দৈনিক নিউজ বাংলাকে।